তানজিদ হাসান তামিমের ১৪২ রানের ইনিংসে ভর করে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২৯৯ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল। তবে প্রতিপক্ষ লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ব্যাটাররা তিন ফিফটিতেই দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। বল হাতে ২ উইকেটের সাথে ব্যাট হাতে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের চিরাগ জানি করেছেন ৯৪ রান। সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ থাকলেও দলকে এনে দিয়েছেন টানা তিন জয়।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস হেরে আগে ব্যাট করে তামিমের ১৪২ ও মাইশুকুর রহমান রিয়েলের ৫৩ রানে ভর করে ৫ উইকেটে ২৯৯ রান ব্রাদার্সের।
জবাবে পারভেজ হোসেম ইমনের ৬৬, ইরফান শুক্কুরের ৫৩ ও ভারতীয় চিরাগ জানির ৯৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। নিজেদের টানা তিন জয়ের তিনে প্রতিপক্ষ পুড়লো টানা তিন হারের বেদনায়।
মিজানুর রহমানের (২০) সাথে তামিমের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪২ রান। আল আমিন হোসেনের বলে মিজানুর আউট হন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।
এরপর সাব্বির হোসেনকে নিয়ে (৩৭) আরও ৮০ রান যোগ করেন তামিম। ততক্ষণে এই বাঁহাতি ফিফটি তুলে নিয়েছেন ৫৪ বলে। কিছুটা সময় সঙ্গ দেওয়া আনিসুল ইসলাম ইমন করেছেন ২৮ রান।
এরপর মাইশুকুর রহমানকে নিয়ে তামিম যোগ করেন ৮৭ রান। এ দফায় অবশ্য নিজে আউট হন। তাকে বোল্ড করেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
তার আগে ১১১ বলে ১০ চার ৩ ছক্কায় ছুঁয়েছেন সেঞ্চুরি। যা টেনে নেন ১৪২ বলে ১৪ চার ৪ ছক্কায় ১৪২ রান পর্যন্ত। ৪৯ বলে ২ চার ১ ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন ৫৩ রানে।
১০ ওভারে ৪৭ রান খরচায় চিরাগের শিকার ২ উইকেট। একটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন মাশরাফি, আল আমিন ও সোহাগ গাজী।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার থামেন মাত্র ১০ রানে। তবে তিন নম্বরে নামা সাব্বির রহমানকে নিয়ে ৮৩ রান তোলেন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।
৪৩ বলে ৪ চার ৭ ছক্কায় ৬৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে আউট হন এই বাঁহাতি। সমান বলে ৩৪ রান করে আউট হন সাব্বিরও।
৩ উইকেটে ১৩৬ রান থেকে ৯৯ রানের জুটি ইরফান শুক্কুর ও চিরাগ জানির। শুক্কুর আউট হন ৬৯ বলে ৫৩ রান করে। মাশরাফিকে ফিরতে হয়েছে খালি হতে।
দলের জয় নিশ্চিতের পথে নিজেও সেঞ্চুরির দিকে ছিলেন চিরাগ জানি। কিন্তু আউট হন দলকে জয় থেকে মাত্র ৮ রান দূরে রেখে। তাতে নিজেও পোড়েন সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে।
৮৪ বলে ৭ চার ১ ছক্কায় ৯৪ রানের ইনিংসটি সাজান চিরাগ। তবে তার অসমাপ্ত কাজ শেষ করেন তানবীর হায়দার (১৩) ও সোহাগ গাজী (১৩*)। ৮ বল হাতে রেখেই আসে জয়।
হারা ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন সাব্বির হোসেন ও রাহাতুল ফেরদৌস।