Breaking News
Home / বাংলা টিপস / গর্ভবতী অবস্থায় কি কি ঝুঁকি থাকে?

গর্ভবতী অবস্থায় কি কি ঝুঁকি থাকে?

গর্ভবতী নারীদের সাধারণ নানা ধরণের ঝুঁকি থাকে। এজন্য গর্ভবতী হবার আগে থেকেই পূর্ব প্রস্তুতি থাকা জরুরি। স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার পাশাপাশি, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুয়ায়ী বাচ্চা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। গর্ভবতী নারীদের নানা ধরণের রোগ ও ঝুঁকি নিয়ে ডক্টর টিভির সঙ্গে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিটোমেটারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ফিরোজা বেগম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ডা. আরিফা শারমিন মায়া।

ডক্টর টিভি: আসসালামু আলাইকুম আপা। কেমন আছেন

ডা. ফিরোজা বেগম: ওয়ালাইকুম সালাম। আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।

ডক্টর টিভি: গর্ভাবস্থার আগে, গর্ভাবস্থায় ও গর্ভাবস্থার পরে কি কি জেনেটিক রোগ সাধারণত হবার সম্ভাবনা থাকে?

ডা. ফিরোজা বেগম: জন্মগত ত্রুটির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং সারা বিশ্বে সাধারণ গর্ভবতী নারীদের ডাউনস সিনড্রোম একটি রোগ। কিন্তু এই সিনড্রোম নিয়ে এখন আর আমাদের দেশে খুব বেশি চিন্তা করতে হয় না। কারণ ১১ থেকে ১৪ সপ্তাহের মধ্যে আলট্রাসনোগ্রাফি, রক্ত পরীক্ষা, এনআইপিটি করে চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন যে বাচ্চাটি ডাউনস কিনা। এছাড়াও ইনভেসিভ টেস্ট-এর ক্ষেত্রে মায়ের পেটের পানি যেখানে বাচ্চা থাকে, সেখানকার পানি নিয়ে পরীক্ষা করে এবং গর্ভফুল থেকে কিছু অংশ নিয়ে পরীক্ষা করে ডাউন সিনড্রোম শনাক্ত করা যায়।

ডক্টর টিভি: কোন বয়সী নারীদের গর্ভবতী হবার ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি?

ডা. ফিরোজা বেগম: ২০ বছর বয়সের আগে এবং ৩৫ বছরের পরে মেয়েদের গর্ভাতী হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ মেয়েদের ক্ষেত্রে ২০ বছরের আগে এবং ৩৫ বছরের পরে ক্রোমোজোমাল সমস্যা আসে। আর ছেলেদের ক্ষেত্রে ৪০ বছরের পরে স্পার্মে ক্রোমোজোমাল ডিফেক্ট চলে আসে। এর ফলে ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চা তৈরি হতে পারে।

ডক্টর টিভি: একজন মা গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে চিকিৎসকের কাছে গেলে, তখন গর্ভাবস্থার ঝুঁকি আছে কিনা সেটা কি কি পরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়?

ডা. ফিরোজা বেগম: এক্ষেত্রে প্রথমে গর্ভবতী মায়ের সম্পর্কে তথ্য নিয়ে তার প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষা করা হয়। যেমন রক্ত পরীক্ষা, কিছু ক্রোমোসোমাল টেস্ট। এক্ষেত্রে রক্ত পরীক্ষা থেকেও অনেক সমস্যা ধরা পড়ে। এছাড়া পরিবেশগত কারণে কিছু সমস্যা হতে পারে গর্ভাবস্থায়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকরা মায়েদের সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে যেসব পুরুষরা ইলেকট্রিসিটি, কম্পিউটারে কাজ বেশি করেন, তাদের স্পার্মে সমস্যা বেশি আসে। এছাড়া মাদক, ইয়াবা, অ্যালকোহল এগুলো পুরুষদের স্পার্ম এর ক্ষেত্রে যেমন ক্ষতিকর, তেমনি গর্ভবতী করার ক্ষেত্রে বাচ্চাদের ক্ষতি করে। তাই গর্ভাবস্থায় সব ধরনের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।

ডক্টর টিভি: আত্মীয়তার মধ্যে চাচাতো ভাই-বোন ,খালাতো ভাই-বোন, মামাতো ভাই-বোন, এরকম বিয়ে হলে কি ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?

ডা. ফিরোজা বেগম: আত্মীয়তার মধ্যে বিয়ে হলে হরমোনগত সমস্যা থাকতে পারে। এক্ষেত্রে মা-বাবা দু’জনের মধ্যে যদি কিছু কিছু হরমোনাল সমস্যা থাকে তাহলে সে সমস্যাগুলো বাচ্চার মধ্যে পড়তে পারে।

Check Also

ফোনের চার্জারের তার ছোট হয় কেন?

স্মার্টফোনের প্রাণ সচল রাখতে চার্জারের বিকল্প নেই। সারাক্ষণ স্মার্টফোনে কোনো না কোনো কাজ করছেন। কখনো …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *